ধর্ষণের পর খুন করাই যার নেশা


খদ্দের সেজে যৌনকর্মীর সঙ্গে প্রথমে হোটেলে সাক্ষাৎ। এরপর তাদের নৃশংসভাবে হত্যা। একটি দুটি নয়, যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্য থেকে চলতি সপ্তাহে এ রকম সাত নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের সবাইকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডে ড্যারেন ভ্যান (৪৩) জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাকে ধরতে চিরুনি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডের শিকার সাত নারীর একজন আফ্রিকা হার্ডি (১৯)। তার মৃতদেহ শুক্রবার একটি মোটেল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর এক সাক্ষাৎকারে হার্ডিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন ভ্যান। এ ছাড়া আরো বেশ কয়েক নারীর মৃতদেহের অবস্থানের কথাও তিনি জানান।
তার বক্তব্য অনুযায়ী, ইন্ডিয়ানার ওই হোটেলের আশপাশ থেকে শনিবার আরো তিনজন নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ছাড়া চলতি সপ্তাহের প্রথমদিকে আরো তিন নারীর মৃতদেহ খুঁজে পায় পুলিশ।
পুলিশ জানায়, হার্ডি একজন যৌনকর্মী ছিলেন। মোটেলে ভ্যানের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তিনি। হার্ডিকে হত্যার বিষয়টি মোটেল কর্তৃপক্ষ টেরও পেয়েছিল। তবে তাকে বাঁচাতে ব্যর্থ হয় কর্তৃপক্ষ।
টেস্টের মাধ্যমে দ্বিতীয় ব্যক্তিকে শনাক্ত করা গেছে। তিনি অ্যানিথ জোনস (৩৫)। তবে কীভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। অন্যদের পরিচয়ও পরিষ্কার নয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণের পর তাদের হত্যা করা হয়েছে। এসব হত্যার সঙ্গে ড্যারেন ভ্যান জড়িত, সেটা একরকম নিশ্চিত। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
সোমবার ইন্ডিয়ানার হ্যামন্ডের পুলিশপ্রধান জন দোহাটি সাংবাদিকদের জানান, ২০০৯ সালে টেক্সাসে একটি যৌন হয়রানির মামলায় তিনি দোষী সাব্যস্ত হন। এ জন্য তিনি জেলও খেটেছেন। ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তাদের তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি আরো দুই দশকের বেশি সময় মানুষ হত্যা করবেন। তবে তখন তার এ বক্তব্যকে গুরুত্বসহকারে নেয়নি নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ।
তথ্যসূত্র : বিবিসি।
  • 0Blogger Comment
  • Facebook Comment