শীত আসার সাথে সাথে মশার উপদ্রপ বেড়ে যায় । আমরা সবাই মশার কামড়ে ইতিমধ্যে অতিষ্ঠ । আসুন জেনে নেই মশার কামড়ে শরীরের নির্দিষ্ট অংশটি ফুলে যায় কেন ।
পুরুষ মশারা উদ্ভিদের মধু হতে খাদ্য গ্রহন করে বেঁচে থাকে । কিন্তু ডিমের পরিপুষ্টতার জন্যে ও প্রোটিনের গঠনের জন্য স্ত্রী মশাদের রক্তের দরকার । মশকি (স্ত্রী মশা) যখন তার সূচাল শুঁড় (নাসিকা) ত্বকের ওপর অন্তর্নিবিষ্ট করে রক্ত চোষে তখন এর লালা ত্বকের মধ্যে প্রবেশ করে । এই লালায় পরিপাকীয় এনজাইম ও দ্রুত রক্ত প্রবাহিত করার যোগ্য উপাদান থাকে যা রক্তকে জমাট বাধতে বাঁধা প্রয়োগ করে ।
রক্ত খুব সহজেই দেহের কোনো ক্ষত স্থানে জমাট বেঁধে যায় । তাই মশকিরা রক্ত বাইরে বের করার পদ্ধতি না ব্যবহার করে দেহের ভিতর তারা তদের লালার মাধ্যমে কারসাজি সারে । তাদের লালায় এমন রাসায়নিক উপাদান আছে যার সংস্পর্শে ক্ষণিকের জন্য রক্ত সঞ্চালন পক্রিয়া বেড়ে যায় । তদের রক্ত পানের জন্য এই অল্প সময়ই যথেষ্ট । লালারসের কারণেই আমাদের শরীরে অনেকটা অ্যালার্জির বিরুদ্ধ স্বরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে আমাদের আত্নরক্ষার সংবেদনশীল প্রক্রিয়াগুলো । মশকির লালার অ্যান্টিজেনের বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য হিস্টামিন ও অ্যান্টিবডি নির্গত হয় । আর এর ফলেই প্রতিক্রিয়া স্বরূপ অল্প লালারসের কারণেই অল্প সময়ের জন্য আক্রান্ত জায়গা ফুলে যায় ও চুলকানির সৃষ্টি হয় । একটি সুবিধা আছে এই চুলকানির, আর তা হচ্ছে এর কারণে আমরা মশাকে মারতে উদ্যত হই । যা মশাবাহিত বিভিন্ন জটিল রোগ সংক্রামণের প্রতিবন্ধকতা স্বরূপ । ফোলা অংশটা চুলকানো উচিৎ নয়, কারণ এর ফলে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে । এর পরিবর্তে ক্যালামাইন লোশন কিংবা বেনাড্রিল, ক্লোরিটিন ইত্যাদির ব্যবহার এই বিরক্তিকর অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে উত্তম ব্যবস্থা ।